ভারতের হিন্দুত্ববাদী দলগুলো নিজেদের উগ্র হিন্দুত্ববাদকে রক্ষার জন্য
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও প্রশিক্ষিত করে তুলছে। হিন্দুত্ববাদ ও কথিত
দেশপ্রেম জাগাতে, নারীদের আত্মরক্ষার্থে দুর্গা বাহিনি গড়ছে সন্ত্রাসী
গেরুয়া শিবির। প্রতিটি জেলাতেই একটি করে কমিটি গঠন করা হবে। গত ৩১ মে থেকে ৫
জুন পর্যন্ত কলকাতা সহ ১৪টি জেলার ১৮২জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল কৃষ্ণনগর
শহরে। গেরুয়া শিবিরের নেতারা জানায়, ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী পর্যন্ত মেয়েরা
দুর্গা বাহিনীতে থাকবে এবং ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলারা মাতৃশক্তি
বাহিনিতে থাকবে।
তৃণমূল সুপ্রিমো বঙ্গ জননী বাহিনি গঠন করেছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে সংসদ
সদস্য কাকলি ঘোষদস্তিদার। এবার দুর্গা ও মাতৃশক্তি বাহিনি গড়ছে গেরুয়া
শিবির। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গা বাহিনির প্রতিটি
জেলায় একটি করে কমিটি থাকবে। দুর্গা বাহিনি গড়তে গত ৩১ মে থেকে ৫ জুন
পর্যন্ত কৃষ্ণনগরের সরস্বতী শিশু মন্দিরে একটি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত
হয়েছে। তাতে দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা সহ ১৪টি জেলার ১৮২ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
কলকাতা সহ ১৪টি জেলা হল মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দুই উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া,
হুগলি, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। মালদা
থেকে উত্তরবঙ্গের জেলা গুলি নিয়ে উত্তরবঙ্গ হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। ১৮ থেকে
৩০ বছর বয়সী মেয়েরা থাকবে দুর্গা বাহিনিতে। আর ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলারা
থাকবে মাতৃশক্তি বাহিনিতে। এই দুই বাহিনির কী কাজ হবে? গেরুয়া শিবিরের
নেতারা জানায়, দুর্গা ও মাতৃশক্তি বাহিনিতে থাকা সদস্যরা সাধারণ মানুষের
মধ্যে হিন্দুত্ববাদ ও দেশপ্রেম জাগাবে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছু জেলায় দুর্গা ও মাতৃশক্তি বাহিনির জেলা নেতৃত্বের
নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নদীয়া জেলায় এখনও করা হয়নি। দ্রুত দুর্গা ও
মাতৃশক্তি বাহিনির নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হবে বলে গেরুয়া শিবিরের নেতারা
জানায়। প্রসঙ্গত, সারা রাজ্যেই গেরুয়া পতাকার উথ্থান ঘটেছে।বঙ্গে বিজেপির
উত্থানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নিজেদের সংগঠন আরও মজবুত করতে চায়। সেকারণেই
দুর্গা ও মাতৃশক্তি বাহিনি গঠন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।
দেশপ্রেম জাগাতে দুর্গা বাহিনিকে নামাতে তৎপর গেরুয়া শিবির। নেতারা
বলছে, দুর্গা ও মাতৃশক্তি বাহিনি এলাকায় সংগঠন বাড়ালে আদতে লাভ হবে
বিজেপিরই। আগামী নির্বাচন গুলিতে এর সুফল পাবে মোদির দল।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সুজন মুখোপাধ্যায় বলেছে, প্রতি জেলাতেই দুর্গা ও
মাতৃশক্তি বাহিনি গঠন করা হচ্ছে। নদীয়া জেলায় এখনও নেতৃত্বের নাম ঘোষণা
করা হয়নি। দুর্গা ও মাতৃশক্তি বাহিনির প্রশিক্ষণ হয়েছে। কলকাতা সহ ১৪টি
জেলার ১৮২ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এই দুর্গা ও মাতৃশক্তি বাহিনির কাজ
দেশপ্রেম জাগানো, আত্মরক্ষার্থে নারীদের এগিয়ে আসার সচেতনতা সহ একাধিক কাজ
করবে তারা।
অন্যদিকে মুসলিম বিশ্লেষকদের মতামত হল হিন্দুরা নিজেদের রক্ষায় যেভাবে
প্রস্তুতি নিচ্ছে তার তুলনায় মুসলিমরা এখনো সুখের নিদ্রায় শায়িত। তাঁদের
নিজেদের রক্ষা করা কিংবা হিন্দুদের উগ্রবাদী আগ্রাসনে মুসলিমদের রীতি নীতি
রক্ষা করার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কোন প্রস্তুতি নেই বললেই চলে। সূত্র:
বর্তমান
0 Comments