![]() | |
templeinstitute.org website থেকে নেয়া ইহুদিদের পরিকল্পনা |
কিন্তু কি এই থার্ড টেম্পল ? এটা বুঝতে হলে আল আক্বসা মসজিদের ইতিহাস জানতে হবে।
হিব্রু বাইবেল অনুসারে জেরুজালেমে প্রথম ইহুদী উপাসনালয় (টেম্পল) নির্মান করেন হযরত সুলাইমান (আঃ)।
প্রায় সাড়ে চারশ বছর পর ৫৮৭ খ্রিষ্টপূর্বে Neo-Babylonian Empire এর রাজা দ্বিতীয় নেবুচাদনেজ্জার (Nebuchadnezzar II) প্রথম টেম্পল বা সুলাইমান টেম্পল ধ্বংস করে।
এরপর ৩৪৯ খ্রিষ্টপূর্বে ইজরা (Ezra ) এবং নেহেমিয়াহর (Nehemiah) নেতৃত্বে দ্বিতীয় টেম্পল নির্মিত হয় যা টিকেছিল ৪২০ বছর। ৭০ খ্রিষ্টপূর্বে রোমানরা (খ্রিষ্টানরা) দ্বিতীয় টেম্পল ধ্বংস করে । এরপর এটা খৃষ্টান আর মুসলমানদের মাঝে হাত বদল হতে থাকে । ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জেরুজালেম কখনো ইসরাঈলের হাতে আসেনি। টেম্পল নির্মানেরতো প্রশ্নই উঠেনা। গত বছরই যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ঈসরাঈলের রাজধানী ঘোষণা করে থার্ড টেম্পল নির্মানের পথকে আরো প্রশস্ত করে ।
এদিকে জেরুজালেমের একটি গরুর খামারে রেড-হফারের (লাল বাছুর) জম্ম হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ।
তা হলে জেরুজালেমে ইহুদীদের থার্ড টেম্পল নির্মানে আর দেরি কেন? রেড-হফার ও তৈরি! সমস্যা হচ্ছে থার্ড-টেম্পল নির্মান করতে হবে প্রথম এবং দ্বিতীয় টেম্পলের যায়গায়, যার উপর এখন দাঁড়িয়ে আছে বায়তুল মুকদ্দাস । বিষয়টা নিশ্চয় টের পেয়েছেন? আল-আক্বসা মসজীদ ভাংতে হবে! ধারণা করা হচ্ছে ইহুদীরা আল-আক্বসা মসজীদের নিচে মাটির অনেক গভীরে খুড়ে বায়তুল মুকাদ্দাসের ভিত্তি দূর্বল করে ফেলেছে। ইহুদীরা সরাসরি আক্রমণে আল-আকসা মসজীদ ভাংতে যাবেনা। বলা হচ্ছে ঐ এলাকায় কৃত্তিম ভুমিকম্প ঘটিয়ে আল-আকসা মসজীদ ধ্বসে দেয়া হবে। ঠিক কোন ফন্দি তারা আঁটছে বলা মুশকিল। তবে এ নিয়ে তারা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। নির্দেশেনা অনুযায়ী "টেম্পল মাউন্ট ইনস্টিটিউট" থার্ড-টেম্পলের যাবতীয় আসবাব, তৈজস-পত্র, রাবাঈ (ইমাম) এর গাউন, এমন কি খুবই বিরল ধুপ পর্যন্ত তৈরি করে রেখেছে। টেম্পল মাউন্ট ইনস্টিটিউটের মতে নির্মান কাজ শুরু হবার ৬ মাসের মধ্যেই টেম্পল-মাউন্ট অফারিং (কোরবানীর) জন্য তৈরি হয়ে যাবে।
এরপর কি? এরপরই আসল ঘটনা শুরু। টেম্পল মাউন্ট তৈরীকে ঘিরে ঐ হাদিসে বর্ণিত মালহামা (মহাযুদ্ধ , তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ) শুরু হতে পারে মুসলমান এবং খৃষ্টানদের একাংশের (রাশিয়া?) সাথে ইহুদী এবং খৃষ্টানদের অন্য অংশের (যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ) ।
ঈসরাঈল বাদে আশে-পাশের গোটা এলাকা অলরেডী যুদ্ধে পূড়ছে। বিশ্বের পরাশক্তিগুলু সিরিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে মূলত ঐ মহাযুদ্ধকে ঘিরেই। যুদ্ধের শেষ দিকেই আগমন ঘটবে ইমাম মাহদীর যাকে ইহুদীরা এবং খৃষ্টানরা মনে করবে এন্টি-ক্রাইষ্ট এবং অপেক্ষা করবে মাসীহা'র । এ সময়ই আসবে প্রকৃত দাজ্জাল , ইহুদীদের মাসীহা, যার জন্যই থার্ড টেম্পল নির্মান করে রেড হফার কোরবানি দিয়ে ওরা অপেক্ষা করবে ।
0 Comments