মায়ের গর্ভে থাকা দুটো যমজ শিশুর মধ্যে কথোপকথন :
ভুমিষ্ট হওয়ার কিছুদিন আগে মায়ের গর্ভে থাকা যমজ দুটো শিশুর মধ্যে কথোপকথন হচ্ছেঃপ্রথমজনঃ তুমি কি ভুমিষ্ট হওয়ার পরের জীবন বিশ্বাস করো?
প্রথমজনঃ পুরোই বাজে কথা। শোন, ভুমিষ্ট হওয়ারপর কোন জীবনই নেই। সে জীবন আবার কি হতে পারে?
দ্বিতীয়জনঃ তা আমার জানা নেই,তবে সেখানে নিশ্চয়ই এ জায়গা (গর্ভ) থেকে বেশী আলো থাকবে। হয়তো আমরা আমাদের পা দিয়ে হাঁটবো আর মুখ দিয়ে খাবো।”
প্রথমজনঃ কি সব অযৌক্তিক কথাবার্তা বলছো তুমি ? হাটা তো পুরোই অসম্ভব। আর আমরা আমাদের এই মুখ দিয়ে খাবো? কি হাস্যকর ব্যাপার! আমাদের Umbilical cord খাবার সরবরাহ করে, ডেলিভারির পড়ে তো তা কেটেই ফেলা হবে।
দ্বিতীয়জনঃ আমার মনে হয় এটা থেকে ভিন্ন কিছু একটা থাকবে।
প্রথমজনঃ ভুমিষ্ট হওয়ার পর কেউই এখানে (গর্ভে) ফিরে আসেনি। ডেলিভারি হওয়ার মাধ্যমেই আমাদের এই জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
দ্বিতীয়জনঃ আমি সেটা জানি না, তবে নিশ্চয়ই আমরা আমাদের মা কে দেখতে পাবো আর তিনি আমাদের দেখাশোনা করবেন।
প্রথমজনঃ কি বললে ??? মা !!! আরে তুমি মাকে বিশ্বাস করো ??!! তাহলে আমাকে বল যে সে এখন কোথায়।
দ্বিতীয়জনঃ তিনি আমাদের সবদিকেই আছেন, আমরা তো তার ভিতরেই বাস করছি। তিনি না থাকলে আমরা আমাদের এই জগতে অস্তিত্ব লাভ করতে পারতাম না।
প্রথমজনঃ কই,আমি তো তাকে দেখছি না। তাই এটা যৌক্তিক যে তার কোন অস্তিত্বই নেই।
দ্বিতীয়জনঃ তুমি যখন নীরব থাকো,তখন তাকে শুনতে পাবে,উপলব্ধি করতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি যে, ভুমিষ্ট হওয়ার পর অবশ্যই একটা বাস্তবতা আছে আর আমরা এই বাস্তবতার জন্যই এখানে প্রস্তুত হচ্ছি।
“হে মানবজাতি,যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দেহে থাকো,তবে (চিন্তা করে দেখো যে) নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি,এরপর নুৎফাহ থেকে,এরপর ‘আলাকা থেকে,এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মুদ্গাহ থেকে,যেন আমরা তোমাদের কাছে (আল্লাহ’র শক্তি) পরিস্কার করতে পারি। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই,এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি,এরপর তোমরা শারীরিক পূর্ণতায় পৌঁছো। এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মারা যাও আর কাঊকে সবচেয়ে নীচ বয়স পর্যন্ত পৌঁছানো হয়,যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও,এরপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি,তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।” (সূরা আল-হাজ্জ,২২ : ৫)
0 Comments