add

গরিব ঠকিয়ে চামড়া বাণিজ্য : ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দরে বিক্রি হয়েছে চামড়া।

ত ৩০ বছরের মধ্যে এবারই সর্বনিম্ন দামে বেচাকেনা হয়েছে পশুর চামড়া। ফড়িয়া বা মওসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে কখনও এত কম দামে চামড়া কিনতে পারেননি তারা। ট্যানারি মালিকরাও বলছেন, গত তিন দশকে চামড়ার দাম এত কমেনি।

জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় গরুর চামড়া গড়ে প্রায় ৫০০ টাকা করে দর পেলেও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় চামড়ার মূল্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় খাসির চামড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। কোন জেলাতে অনেকেই বিনামূল্যে খাসির চামড়া দিয়ে দেন ফরিয়াদের। ঢাকার ওয়ারিতে খাসির চামড়া বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায়ই তা ফেলে দেয়া হয়েছে।

ঢাকার মিরপুরের আবু তালেব জানান, ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা গরুর চামড়া অনেক অনুরোধ করে ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, আট বছর আগেও একই সাইজের গরুর চামড়া আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় অসহায় গরিব মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।



বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরে চামড়ার দাম এত কম দেখিনি। নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে বেচাকেনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এটা অস্বীকার করার মত নয় যে, গত তিন দশকে কাঁচা চামড়ায় দাম এত কম দেখিনি। তবে দাম হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো, কয় মাস পরই জাতীয় নির্বাচন। তাই প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় ভোটারদের তুষ্ট করতে পশু কুরবানি দিয়েছে। গত বছরের চেয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ পশু বেশি জবাই হয়েছে।


 অভিযোগ উঠেছে, গরিবদের ঠকিয়ে ট্যানারি মালিকরা কম দরে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে উচ্চদরে রফতানি করছেন। এতে ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়ছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ে চামড়ার দাম কম থাকছে। এদিকে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে চামড়ার দাম বেশি থাকছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে চামড়া ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে।




Post a Comment

0 Comments