আমাদের জীবনে চলতে ফিরতে এমন অনেক ছোটখাটো ঘটনাও অহরহ ঘটে যাচ্ছে, যার প্রভাব আমরা সহজে কাটিয়ে উঠতে পারি না। তা হতে পারে জনসম্মুখে অপমানিত হওয়া, কোনো কাছের বন্ধুকে সারাজীবনের মত হারিয়ে ফেলা, অনেক বিশ্বাসযোগ্য কারো থেকে প্রতারিত হওয়া ইত্যাদি। এসব ঘটনা মুহুর্তের মাঝে ঘটে গেলেও এর রেশ রয়ে যায় অনেকদিন পর্যন্ত। আর, এই একটা ঘটনাই বিঘ্ন ঘটাতে থাকে আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলোতে।
এসব ঘটনা পুরোপুরি ভুলে যাওয়া সম্ভব না হলেও, কিছু পন্থার মাধ্যমে এর থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসা যায় আর সেই পন্থাগুলোই বলে দেবো আজ।
একটা হাসির ঘটনা যতবার মনে করবেন, তত যেমন এর হাসানোর ক্ষমতা হারিয়ে যাবে, তেমনি একটা কষ্টের ঘটনাও আপনি যতবার চিন্তা করবেন, তত কষ্ট কমে যাবে। এই কাজটা আমি মাঝেমাঝেই করি। আমার সাথে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনা নিয়ে আমি অনেক চিন্তা করতে থাকি। এভাবে সারাক্ষণ চিন্তা করতে করতে, এক সময় দেখি ব্যপারটা খুব স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং এক সময় গিয়ে তা আর মনে থাকে না।
মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, ভুলে যাওয়ার গুণ। একটাঘটনা নিয়ে প্রথমবার চিন্তা করলে যেমন কষ্ট হয়, এরপর থেকে তা ক্রমশই কমতে থাকে। তবে হিতে বিপরীত হলে পন্থা পরিবর্তন করে ফেলা দরকার।
একটা হাসির ঘটনা যতবার মনে করবেন, তত যেমন এর হাসানোর ক্ষমতা হারিয়ে যাবে, তেমনি একটা কষ্টের ঘটনাও আপনি যতবার চিন্তা করবেন, তত কষ্ট কমে যাবে। এই কাজটা আমি মাঝেমাঝেই করি। আমার সাথে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনা নিয়ে আমি অনেক চিন্তা করতে থাকি। এভাবে সারাক্ষণ চিন্তা করতে করতে, এক সময় দেখি ব্যপারটা খুব স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং এক সময় গিয়ে তা আর মনে থাকে না।
একটা ব্যাপার হয়তো আপনি খেয়াল করে থাকবেন যে, আমাদের স্মৃতিগুলো কখনোই একরকম থাকে না। তা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়। অনেক সময় অনেক ঘটনার অনেক জরুরি অংশ আপনি বেমালুম ভুলেও যান। এই ভুলে যাওয়াটা মূলত প্রাকৃতিকভাবে হলেও, আপনি চাইলে নিজে নিজেও তা করতে পারেন। এর জন্য আপনার স্মৃতিটাকে একটু উলটো করে নিতে হবে। বর্তমান কে ভাল রাখুন... পুরোনো একটা ঘটনাকে মনে করে, বর্তমানকে খারাপ করার কোনো মানে হয়, বলুন? এর চেয়ে বরং বর্তমানটাকে ভাল করুন। বর্তমানে আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করুন। সবকিছুর ভাল দিকটা নিয়ে চিন্তা করুন। দেখবেন, অচিরেই মন ভাল হয়ে গেছে। দরকার পড়লে মেডিটেশন করুন। মনকে পরিষ্কার রাখার জন্য, নতুন করে ভাল স্মৃতি তৈরি করুন। একটা ট্যুর দিয়ে আসুন কিংবা রান্নার ক্লাস করে আসুন।
বাজে ঘটনাটা আপনাকে কী শিক্ষা দিলো, তা নিয়ে চিন্তা করুন:
খুব কাছের কারো থেকে প্রতারিত হয়েছেন? ভুলতেই পারছেন না? মনে করুন, মানুষটা আপনাকে মানুষ চিনতে শিখিয়েছে। কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা যে ঠিক না, তা শিখিয়েছে। ডেডলাইন ক্রস হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক টার্ম পেপার জমা নেয় নি? এতে করে আপনি সময়ের কাজ সময় করা শিখেছেন।প্রত্যেকটা বাজে ঘটনাতেই আপনি কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু শিখেছেন।
ব্যস্ত রাখুন নিজেকে:
আমরা অনেকেই দুঃখকে চাপা দিয়ে রাখতে চাই।
ভাবি, এভাবে ভুলে যাব। এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। চোখের পানির সাথে
ভেতরে চেপে থাকা অনেকটা দুঃখও কিন্তু বেরিয়ে আসে। তাই কাঁদুন, চিৎকার
করুন। এতে করে নিজেকে হালকা লাগবে।
বলে রাখা ভালো, আমরা অনেকেই বাজে
স্মৃতিকে ভুলে থাকার জন্য অনেক বাজে পন্থা অবলম্বন করি। যেমন, সিগারেট
খাওয়া কিংবা অন্য কাউকে কষ্ট দিয়ে নিজেকে হালকা করা। এসব একেবারেই উচিত
না, কারণ যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে, এখন নিজের ক্ষতি করে কী লাভ?তাছাড়া অন্য কেউ কেন এর জন্য ভুক্তভোগী হবে? বরং উপরের উপায়গুলো অনুসরণ করে বাজে স্মৃতিকে ভোলার চেষ্টা করাই শ্রেয়। ধন্যবাদ ।
0 Comments