add

ইসলামের দৃষ্টিতে isis কতটুকু সঠিক

২০০৩ সালে ইরাকে আমেরিকান আগ্রাসনের পর  শায়খ আবু মুস’আব আজ জারকাবীর নেতৃত্বে আল-কায়েদা ইরাক শাখা ঘোষিত হয়।  আল-কায়েদা ইরাকের চূড়ান্ত প্রতিরোধের পর একে একে বিশাল, বিস্তৃত ভূখণ্ড মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
Abu Musab al-Zarqawi (1966-2006)

 ২০০৬ সালের ৭ ই জুন  আমেরিকান সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় জারকাবি নিহত হলে,দায়িত্বে আসেন আবু হামজা আল মুহাজির । অতঃপর ইরাকে ইসলামী ইমারাহ (ISI) ঘোষণা করা হলে তার আমির ঘোষিত হোন আবু উমার আল বাগদাদী ।
শায়খ আবু উমার ’র শাহাদাতের পর দায়িত্ব পায় আবু বকর আল বাগদাদি যিনি বর্তমান IS’র আমির।
২০১১ সালে সিরিয়ান বিপ্লবের পর জিহাদে শরীক হয় ISI. তখন বিভিন্ন মুজাহিদিন গ্রুপের সাথে মিলে জিহাদে শরীক থাকে তারা। কিন্তু পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু অঞ্চল দখল হওয়ার পর ISI’র পদস্খলন শুরু হয়। বাগদাদি গং কেন্দ্রীয় নেতাদের কিছু না জানিয়ে ঘোষণা করে ISIS।

সিরিয়া ও ইরাকে মুজাহিদিনদের উপর ঢালাও আক্রমণ ও হত্যাকান্ড চালানো শুরু করে ISIS। ফিতনা এড়াতে স্বাধীনকৃত ভূখণ্ডগুলো ISIS এর হাতে ছেড়ে দেন সিরিয়ার মুজাহিদিনরা।

এমনকি আইএসের রাজধানী ‘রাক্কা’ স্বাধীন করেছিলই সিরিয়ার মুজাহিদিনরা।

পরবর্তীতে দুনিয়ার প্রায় সকল ইসলামী সংগঠন ও অধিকাংশ উলামায়ে কেরামকে কাফির ঘোষণা করে আই-এস।
২০১৪ তে খিলাফাহ ঘোষণা করে আই এস। দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জিহাদি গ্রুপ ‘খিলাফাহ’র মায়াজালে আটকে তাদের অনুসরণ শুরু করে।

শার’ঈ ও যৌক্তিক বিশ্লেষণে এই খিলাফাহ অবৈধ খিলাফাহ ।

IS এর অপরাধের বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  একটি ভিডিও –
https://www.youtube.com/watch?v=XD_XUK7J0UE

আই এসের ব্যাপারে মুজাহিদিন উলামা-উমারাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট। বৈশ্বিক জিহাদের মাঝে বিভাজন ধরানোর মত জঘন্য ফিতনা সৃষ্টি করেছে আই এস। এরচেয়েও জঘন্য বিষয় হচ্ছে তারা মুজাহিদিনদের হত্যা করেছে। মুসলমানদের তাকফির করার পর তাদের হত্যা করেছে। আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদের হিদায়াত দিন।

This offer only  for France residents





Post a Comment

0 Comments